দেশজুড়ে নোভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর কারনে গত বছরের মার্চ মাস থেকে আজ অবধি স্কুলের পাঠদান বন্ধ থাকার কারনে স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা এখন অনলাইন ক্লাস পদ্ধতি।
অনলাইন বা টেলিভিশনে বিকল্প শিক্ষাদানের চেষ্টা হলেও তাতে সাফল্য এসেছে কমই। আর এসব কারনে শিক্ষাক্ষেত্রে যে ঘাটতি তৈরী হয়েছে তা নিয়ে পরিকল্পনা এখনো যেমন চুড়ান্ত হয়নি, তেমনি কবে স্কুল, কলেজ খুলবে তারও জবাব নেই সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিদের কাছে। এক বছর ধরে শ্রেণী কক্ষের বাইরে থাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে ছন্দ পতন ঘটবে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।
শ্রেণীকক্ষে সরাসরি শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে একযোগে পড়ার মাধ্যমে যে শিক্ষন প্রক্রিয়া সেটি না থাকায় এ বছরে একজন শিক্ষার্থীর যা যা শেখা উচিত তার অনেকখানিই হয়নি বলে মনে করেন শিক্ষার্থী অভিভাবক মহল। সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা: দিপু মনি বলেছেন, সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা তারা করছেন কিন্তু কবে থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণ খুলবে তা এখনো স্পষ্ট নয় কেননা এটা নির্ভর করবে সম্পূর্ণ করোনা পরিস্থিতির উপর।
২০২১ শিক্ষাবর্ষে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা অনুকুলে আসলেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনার কথা বললেন তিনি। গতবছরের ১৭ই মার্চ থেকে দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ আগামী ১৬ই জানুয়ারী ২০২১ পর্যন্ত করা হয়েছে। করোনার কারনে এখন আর কোনো কার্যক্রমই বন্ধ নেই। বন্ধ আছে কেবল সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। নতুন বই পেয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এখন স্কুলে ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
লুৎফুর বারী, বিশেষ প্রতিনিধি