রাজশাহী মহানগরীতে থার্টিফাস্ট নাইটে বিষাক্ত মদ সেবন করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছয়জনের মৃত্যুব ঘটনায় চারজন মদ বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ জানুয়ারী দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, সাগরপাড়া এলাকার পবিত্র সিংয়ের ছেলে পরিমল সিং (৬০), একই এলাকার হাসেম আলীর ছেলে মো. সাজু (৩০), একই এলাকার পরিতোষ সিংয়ের ছেলে বাপ্পা সিং (২৮) ও নগরীর সিপাইপাড়া এলাকার মরহুম আব্দুর রউফ মতিনের ছেলে ইফতেখার হোসেন সুমন (৫০)।
তাদের কাছ থেকে ৩ টি কাঁচের তৈরি মদের খালি বোতল, টিউনিং মদ (মিশ্রিত মদ) তৈরির তরল পদার্থ ভর্তি একটি প্লাস্টিকের তৈরি বোতল, তেতুলের বিচি ভর্তি একটি কাঁচের বোতল, কমলা কালারের ৫০ গ্রাম গুড়ো রং, ২৯ টি টিন ও প্লাস্টিকের তৈরি কর্ক, ১১ টি কর্কের নিব ও ৫০ টি কর্কের প্রটেকশন, এ্যালকোহল ভর্তি দুইটি প্লাস্টিকের সাদা বোতল উদ্ধার করা হয়।
রাজশাহী পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, বিষাক্ত মদপানে মৃতের ঘটনায় পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের তাৎক্ষণিক নির্দেশে এবং পরিকল্পনায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানা ও ডিবি পুলিশের সমন্বয়ে অবৈধ মদ উৎপাদন ও মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে আরএমপির বিভিন্ন এলাকায় সর্বাত্বক অভিযান শুরু হয়।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, উদ্ধারকৃত আলামতগুলির রাসায়নিক পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে, তারা অতিরিক্ত লাভের আশায় বিদেশী মদের সঙ্গে রেক্টিফাইড স্পিরিটসহ অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে এক বোতলকে একাধিক বোতলে পরিণত করেছিলো এবং এই অবৈধ মিশ্রিত মদ মৃত ও অসুস্থ ভিকটিমদের নিকট বিক্রয় করেছিলো। অসুস্থ ব্যক্তিদেরকে ধৃতদের ছবি দেখানো হলে তারাও এদেরকে মদ বিক্রেতা হিসেবে সনাক্ত করে।
এ ঘটনায় নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে । জড়িত সকলকে গ্রেফতার ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ সক্রিয় রয়েছে। এই অবৈধ মদের উৎস ধ্বংস করার জন্য কঠোর অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইংরেজী নববষ (থার্টিফাস্ট নাইটে) একদল যুবক মদ পান করে। পরে তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে গত দুইদিনে ৬ জন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৭ জন অসুস্থ হয়ে এখন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।