রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার অলি-গলিতে গড়ে উঠেছে শতশত অবৈধ লাইসেন্সবিহীন খাদ্য উৎপাদনকারী বেকারী।
সিটি কর্পোরেশন থেকে খাদ্য সরবরাহকারী নামমাত্র লাইসেন্স সংগ্রহ করে উৎপাদন করছে নিম্নমানের খাদ্যদ্রব্য, দিনের পর দিন, বছরের পর বছর।
অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে অত্যন্ত নিম্নমানের আটা-ময়দা, চিনি, পচা ডিম ও খাদ্যে মিশানো নানা ধরনের রং মিশিয়ে এসব বেকারী সমুহ তৈরী করছে হাজার হাজার টন বিভিন্ন ধরনের বিস্কুট, চানাচুর ও কেক। আর যা এই রাজধানীবাসীর খাদ্য তালিকায় যোগ হচ্ছে প্রতিদিন।
এসব নিম্ন মানের খাদ্য গ্রহনের ফলে মানব দেহে স্লো-পয়জনিং ঢুকে শরীরের প্রধান প্রধান অর্গান সমূহকে অকেজো করে দিচ্ছে। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। আর তাই অকালে মৃত্যুর দিকে টেলে দিচ্ছে দেশের মানুষকে।

রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতাল সূত্র মতে প্রতিদিন কিডনি, হার্টএট্যাক, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা খুব দ্রুত হারে বাড়ছে আর এর কারণ অনুসন্ধানে যে তথ্য বেরিয়ে আসছে সেটা হলো খাদ্যে অতিরিক্ত ভেজাল মেশানোর ফলে বেড়ে চলেছে রোগীর সংখ্যা।
সময়ে সময়ে সরকারের ভেজাল বিরোধী অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত এসব বেকারী সমূহকে সামান্যতম জরিমানা করলেও কোন ভাবেই থামছে না এই উৎপাদন ব্যবস্থা। বরং নতুন উদ্যমে ভিন্ন আঙ্গিকে হরদম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের উৎপাদন বাণিজ্য।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেল, এইসব বেকারীগুলোর কোনটাতেই খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রনের জন্য নেই কোন আধুনিক মেশিন বা মান নিয়ন্ত্রকযন্ত্র, কোয়ালিটি একেবারে বেহাল দশা এছাড়াও বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে বেকারীর নিম্নমানের কেক-বিস্কুট খেয়ে শিশুরা প্রায়ই ডায়রিয়ায় ভুগছে। তাই এ সেক্টরে খাদ্য অধিদপ্তরের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়িয়ে খুব দ্রুত অবৈধ কারখানাগুলো বন্ধের দাবী সাধারণ নগরবাসীর।
লুৎফুর বারী, বিশেষ প্রতিনিধি