শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে উত্তরায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত


উত্তরায় জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা নিরাপদ সড়কের জন্য সম্মিলিত সচেতনতার আহ্বান জানান। আয়োজকরা পাঁচ দফা কর্মপরিকল্পনা ও নিরাপদ সড়কের প্রত্যয় তুলে ধরেন।

২২ অক্টোবর ২০২৫, ১:৪৫ অপরাহ্ণ 

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে উত্তরায় সচেতনতামূলক কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

“সড়ক জ্যাম জটমুক্ত হোক, জীবন হোক নিরাপদ” - এমন স্লোগানকে সামনে রেখে রাজধানীর উত্তরায় পালিত হলো জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৫। দিবসটি উপলক্ষে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরের কদম চত্বর (ময়লার মোড়) এলাকায় সচেতনতামূলক মানববন্ধন ও আলোচনা সভার আয়োজন করে কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল ও এম আর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক কাজী মেহেদী হাসান, এম আর ড্রাইভিং ট্রেনিং সেন্টারের পরিচালক মোহাম্মদ রাজু আহমেদ, উত্তরা পশ্চিম ট্রাফিক বিভাগের ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান এবং দৈনিক বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার ও প্রতিষ্ঠানটির উপদেষ্টা মো. সোহেল রানাসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধ ও নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে শুধুমাত্র সরকার নয়, বরং চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত সচেতনতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। আইন মেনে চলা ও নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মত দেন তাঁরা।

এসময় কাজী ড্রাইভিং ট্রেনিং স্কুল-এর পক্ষ থেকে নিরাপদ সড়ক গঠনে পাঁচটি লক্ষ্য উপস্থাপন করা হয়:

১। যানজটমুক্ত সড়ক নিশ্চিতকরণ: শহর ও গ্রামীণ সড়কে শৃঙ্খলাবদ্ধ ও পরিকল্পিত যান চলাচল নিশ্চিত করা।
২। চালকের ফিটনেস ও দক্ষতা যাচাই: প্রশিক্ষিত, স্বাস্থ্যসম্মত ও মানসিকভাবে প্রস্তুত চালকদের মাধ্যমে যানবাহন পরিচালনা নিশ্চিত করা।
৩। যাত্রী সচেতনতা বৃদ্ধি: যাত্রীদের মধ্যে ট্রাফিক আইন ও নিয়ম মেনে চলার সংস্কৃতি গড়ে তোলা।
৪। ঘুম-চোখে বা ক্লান্ত অবস্থায় গাড়ি না চালানো: চালকদের মধ্যে ঘুম বা ক্লান্তির কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি।
৫। সড়ক নিরাপত্তা শিক্ষা প্রসার: স্কুল, কলেজ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে ট্রাফিক সচেতনতা বিষয়ক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার আহ্বান।

অনুষ্ঠান শেষে আয়োজকরা “নিয়ম মেনে চলি, নিরাপদে বাড়ি ফিরি” এবং “সচেতন চালক, নিরাপদ সড়ক”—এই দুটি মূল শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি নিরাপদ, শৃঙ্খলাপূর্ণ ও মানবিক সড়কব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আয়োজকদের মতে, এ ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।