বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

১৮ নভেম্বর উদ্বোধন হচ্ছে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ


ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব সনদসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর নির্ধারিত তারিখে মিশন অফিসে উপস্থিত হয়ে ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে।

১২ নভেম্বর ২০২৫, ৫:৫৩ অপরাহ্ণ 

১৮ নভেম্বর উদ্বোধন হচ্ছে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন অ্যাপ উদ্বোধন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ উপলক্ষে প্রবাসীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রক্রিয়া সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা সম্বলিত একটি পরিপত্র জারি করেছে ইসি।

ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) খানআবি শাহানুর খান স্বাক্ষরিত ওই পরিপত্র সোমবার জারি করা হয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রণয়ণের জন্য অনলাইনে পূরণ করা নিবন্ধন ফরম-২ক, অনলাইন ভেরিফাইড জন্ম নিবন্ধন সনদ, বাংলাদেশি পাসপোর্টের কপি (মেয়াদ-সংবলিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ), বিদেশি পাসপোর্টের কপি বা সংশ্লিষ্ট দেশে বসবাসরত তিনজন এনআইডিধারী বাংলাদেশির নাগরিকত্ব প্রত্যয়নপত্র আবশ্যক।

এ ছাড়া আবেদনকারীর মা-বাবার এনআইডি, জন্মনিবন্ধন বা মৃত্যুসনদ, ওয়ারিশ সনদ বা নাগরিক সনদ, এবং এক কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি জমা দিতে হবে।

প্রয়োজনে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ (এসএসসি/সমমান, জেএসসি বা পিইসি), নিকাহনামা ও স্বামী/স্ত্রীর এনআইডি, ইউটিলিটি বিল বা হোল্ডিং ট্যাক্স রশিদের কপি, এবং চট্টগ্রাম বিভাগের নির্ধারিত ৫৬ উপজেলা/থানার জন্য বিশেষ তথ্য ফরম জমা দিতে হবে।

মিশন অফিস থেকে প্রাপ্ত অ্যাপয়েন্টমেন্ট অনুযায়ী আবেদনকারীকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ছবি ও বায়োমেট্রিক তথ্য (আঙুলের ছাপ, আইরিশ ও স্বাক্ষর) প্রদান করতে হবে। প্রয়োজনে আবেদনকারীর পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত প্রতিনিধি দলিলাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে জমা দিতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, প্রবাসীদের প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকার নির্বাচন অফিসার সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করবেন, যা নিবন্ধন প্রক্রিয়ার বাধ্যতামূলক অংশ হিসেবে গণ্য হবে।