ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে উস্কানি দিয়ে নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলছেন সাবেক দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিব
১৩ নভেম্বর ২০২৫, ৩:৩৭ অপরাহ্ণ
জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোটের আয়োজন করা হবে। অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে একই দিনে গণভোট অনুষ্ঠিত হবে। এতে কোনোভাবেই সংস্কারের লক্ষ্য ব্যাহত হবে না। নির্বাচন আরও উৎসবমুখর ও সাশ্রয়ী হবে।”
তিনি জানান, গণভোটের আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় আইন যথাসময়ে প্রণয়ন করা হবে। গত নয় মাস ধরে রাষ্ট্র গঠনের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে বলেও জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেন, “জুলাই সনদের আলোকে আমরা গণভোটের ব্যালটে উপস্থাপনীয় প্রশ্নও নির্ধারণ করেছি। প্রশ্নটি হবে—আপনি কি জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ এবং তাতে লিপিবদ্ধ সংবিধান সংস্কার সম্পর্কিত প্রস্তাবগুলোর প্রতি সম্মতি জ্ঞাপন করছেন?”
গণভোটে চারটি মূল বিষয়ের ওপর ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
১. নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠনের নতুন প্রক্রিয়া।
২. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন এবং উচ্চকক্ষের অনুমোদন ছাড়া সংবিধান সংশোধন না করা।
৩. নারী প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি, প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ভারসাম্য, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ে জুলাই সনদের প্রস্তাব বাস্তবায়ন।
৪. রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি অনুসারে জুলাই সনদে বর্ণিত অন্যান্য সংস্কার কার্যকর করা।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫”-এ স্বাক্ষর করেন। পরে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গণভোট আয়োজনের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব জমা দেয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত আদেশের ভিত্তিতেই এই গণভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যেখানে তিনি “জুলাই ঘোষণাপত্র” পাঠ করেছিলেন।