কে হবে ইউরোর সেরা খেলোয়াড়? তার প্রশ্নের উত্তর লুকিয়েছিল স্পেনের দুজনের তারকা খেলোয়াড়ের মধ্যেই। কারণ লড়াই যে হচ্ছিল শুধু  হবে, স্পেনের রদ্রি কিংবা লামিনে ইয়ামালের। ইংল্যান্ডের কেউ ঠিক ইউরোর সেরা খেলোয়াড় হওয়ার মতো খেলতে পারেননি এবার। আর ফাইনালের আগেই ঝরে যাওয়া দল থেকে কখনো ইউরোর সেরা খেলোয়াড় বেছে নেওয়ার নজিরও নেই।
এবার স্পেনের রদ্রি কিংবা লামিনে ইয়ামালের মধ্যে যেকোনো একজন হবেন ইউরোর প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট। শেষ পর্যন্ত উয়েফার টেকনিকাল পর্যবেক্ষক কমিটি রদ্রিকেই বেছে নিয়েছে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। তবে ইয়ামাল ও অবশ্য খালি হাতে ফিরবেন না। ইউরোর ট্রফির সঙ্গে তিনি জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
এবার জার্মানির বার্লিনে আয়োজিত হয়েছে ইউরো। গেলবার ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ফাইনালে উঠলেও ইতালির কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। এবার সেই কষ্ট কিছুটা কমানো চেষ্টায় ছিলেন ইংল্যান্ডের প্লেয়াররা। তবে বিধি বাম, ফাইনালে ইংল্যান্ডে বলের নিয়ন্ত্রণ খুব একটা রাখতে পারেনি। তাইতো শিরোপার স্বাদ এবার ও মিটল না ইংল্যান্ডের। তাইতো স্পেন হলো ইউরো এবারের আসরের চ্যাম্পিয়ান। 
বার্লিনে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববারের ফাইনালে চোটের কারণে প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামতে পারেনি রদ্রি। তবে এর আগে পুরো টুর্নামেন্টে তিনি যেভাবে খেলেছেন, সেটাই তাঁকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে ৫২১ মিনিট খেলে  পাস দিয়েছেন ৪১১ টি, সফল পাসের হার ৯৩ শতাংশের মতো। রদ্রি গোলও করেছেন একটি।
ইয়ামাল তো এই ইউরোর বিস্ময়ই বালক। একটা গোল করেছেন, তবে সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন চারটি। এক ইউরোতে তাঁর চেয়ে বেশি গোল করাননি আর কেউ। সেরা খেলোয়াড় ও সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের মতো সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুটও জয়ীদের মধ্যেও আছেন এক স্প্যানিশ—দানি ওলমো। তবে এবার ইউরোর গোল্ডেন বুট জিতেছেন আরও ৫ জন। সবারই গোল ৩টি করে। ওলমো ছাড়াও গোল্ডেন বুট পেয়েছেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, স্লোভেনিয়ার ইভান শারাঞ্জ ও জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে। ফাইনালে ওলমো বা কেইন গোল করলে পুরস্কারটা একাই নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু দুজনের কেউই গোল পাননি।

আইকে/১৬/১